ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ১৫ জন আহত হওয়ার ঘটনা অত্যন্ত উদ্বেগজনক।
ব্রাহ্মণবাড়িয়াব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে দিনভর আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ১৫ জন আহত হওয়ার ঘটনা গভীর উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। স্থানীয় শান্তিপুর গ্রামে এই সংঘর্ষের পেছনে দীর্ঘদিনের বিরোধ এবং ক্ষমতার লড়াই ছিল বলে জানা গেছে।
সংঘর্ষের পরিস্থিতি
আজকের সংঘর্ষে শিবু গ্রুপ এবং আজগর আলী গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। দুই গ্রুপের সদস্যরা টেটা, রামদা, ঢাল, সুরকি, ইট ও পাটকেল নিয়ে একে অপরকে আক্রমণ করেন। সংঘর্ষের ফলে কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছে, তাদের মধ্যে কেউ কেউ টেটাবিদ্ধ হয়েছেন। গুরুতর আহত একজনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে, এবং বাকিদের নরসিংদী বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
এছাড়াও, সংঘর্ষের সময় বেশকিছু বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে, যা পরিস্থিতির আরও তীব্রতা বাড়িয়েছে। এসব ঘটনাও স্থানীয় শান্তিপূর্ণ পরিবেশের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।
বিরোধের পটভূমি
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শান্তিপুর গ্রামে শিবু গ্রুপ ও আজগর আলী গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলছিল। এই বিরোধের জেরেই মঙ্গলবার সকালে সংঘর্ষ শুরু হয় এবং তা পুরো দিনব্যাপী চলে। দুই গ্রুপের সদস্যরা একে অপরকে লক্ষ্য করে হামলা চালানোর পাশাপাশি এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে।
পুলিশের অবস্থান
বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোরশেদ আলম চৌধুরী জানিয়েছেন, সংঘর্ষের পেছনে আধিপত্য বিস্তার সম্পর্কিত বিরোধ রয়েছে, তবে এ বিষয়ে এখনো কোন লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। পরিস্থিতি শান্ত রাখতে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে, তবে এখনও কোনো পক্ষ মামলা করেনি।
এ ধরনের সংঘর্ষ সাধারণত এলাকায় রাজনৈতিক বা সামাজিক দ্বন্দ্বের ফলস্বরূপ ঘটে থাকে, যা সামগ্রিক আইন-শৃঙ্খলার পরিস্থিতি ও শান্তি শৃঙ্খলায় হুমকি তৈরি করে। এর পাশাপাশি, আহতদের চিকিৎসা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা জরুরি হয়ে পড়েছে।
এই ধরনের সহিংসতা আরও না বাড়াতে প্রশাসনকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে, পাশাপাশি স্থানীয় সম্প্রদায় ও রাজনৈতিক নেতাদেরও সংযত ও শান্তিপূর্ণ আচরণ প্রদর্শন করা উচিত।